গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগ
গ্রুপ সি ও ডি শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের
নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ আদালতের
নবম-দশমে অবৈধ নিয়োগ তথ্য জানাবে সিবিআই-এসএসসি
পূজোর আগে ৯২৩ জন চাকরি প্রার্থীর ভাগ্য ফিরতে চলেছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শূন্যপদে অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, গ্রুপ সি এবং ডি’র ক্ষেত্রে আগেই বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি গিয়েছে। পুজোর আগেই ওই পদে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে গ্রুপ ডি’র ক্ষেত্রে ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল। এদিন ওই ৫৭৩ টি শূন্যপদে মেধার ভিত্তিতে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একইভাবে গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রেও বেআইনি নিয়োগে চাকরি যাওয়ায় ৩৫০টি পদ খালি রয়েছে। ওই পদেও যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, বাগ কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ৬০৯ জনের নিয়োগ বেআইনি ছিল। গ্রুপ সি’তে ৩৫০ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শূন্যপদ এখনও পূরণ হয়নি। যদিও এসএসসির তরফে জানানো হয়, এত দ্রুত এই ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, পুজোর আগে চাকরি দেওয়া সম্ভব না হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা সহ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এদিকে, এদিনই নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এসএসসি এবং সিবিআইয়ের কাছে বেআইনি নিয়োগের তালিকা তলব করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, ‘গত এপ্রিল মাস থেকে মামলা চলছে। প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা এখনও চাকরি পাননি। তাঁদের দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে তো!’ এছাড়াও বিচারপতি বলেন, ‘বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বরখাস্ত করা হবে।’ যেহেতু নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই, তাই তাদেরও বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়াদের তালিকা দিতে হবে। পাশাপাশি এসএসসির কাছেও এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকার কথা। তাই তাদেরও তালিকা পেশ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসএসসি এবং সিবিআইকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন