রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী আরো নয়া দুটি প্রকল্প চালু করলেন৷

 রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী আরো নয়া দুটি প্রকল্প চালু করলেন



রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী  শুরু করলেন আরও দুটি নয়া প্রকল্প ,আলিপুরদুয়ার থেকে সরাসরি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী তিনি প্রথমে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তিনি বললেন যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য বিভিন্ন প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে ১০০ দিনের টাকা আবাসের টাকা আপনারা জানেন যে লক্ষী ভান্ডারের টাকা বহু মহিলারা তাদের কে দেয়া হয়ে থাকে এবং অনেকে উপকৃত হয়েছে এবং হচ্ছে  তা সত্ত্বেও আমি রাজ্যের টাকে খুব কষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছি ।জনসাধারণ এমনকি তারা রাজ্য পাওনা টাকা তারা নিয়ে চলে যাচ্ছে, বারবার বলা সত্য সেটা কিন্তু আমরা আর পারছি না বা দিচ্ছে না, আমি কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। আমি আজ আরও দুটি প্রকল্প চালু করলাম তিনি আলিপুর দুয়ারে এক সভা থেকে তিনি বললেন যতটা পারবো না ততটা পারবো না ,কিন্তু চেষ্টা ত্রুটি থাকবে না। কিন্তু মানসিকতা তো থাকতে হবে এই যে ওবিসিদে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র আপনারা জানেন যে এস সি এস টি রা স্কলারশিপ একটা পেয়ে থাকে কিন্তু ওবিসি দের থেকে বঞ্চিত করা হয় তা তাদের কথায় একটা চিন্তাভাবনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারাও যাতে বঞ্চিত না হয় তা আমরা ব্যবস্থা করেছি। আমরা বলছি ৮০০ টাকা করে দেব নাম দিয়েছি মেধাশ্রী যা ওবিসিদের নাম দেওয়া উচিত "মেধাশ্রী" দিয়েছি টাকা যেহেতু আমরা দেব এছাড়া তিনি আরো উল্লেখ করলেন যে চা শ্রমিকদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্প আমি এনেছি যা চা শ্রমিকদের তাদের অভাব অভিযোগের কথা মাথায় রেখে আর একটা প্রকল্প আমি চালু করলাম চা সুন্দরী তারা থাকার জন্য একটা বাসস্থান বাড়ি পাবে।


এবার বাড়ি বাড়ি হবে সার্ভে যুক্ত থাকবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ভলেন্টিয়ার

 এবার বাড়ি বাড়ি হবে সার্ভে

যুক্ত থাকবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ভলেন্টিয়ার





আপনারা জানেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন প্রকল্প তিনি চালু করেছেন। এছাড়া যে সমস্ত প্রকল্প গুলো তিনি চালু করেছেন সেই সমস্ত প্রকল্প গুলো অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছে। তাই তিনি আরো নতুন কিছু উদ্যোগ তিনি নিতে চলেছেন। যাতে কোন মানুষ এই প্রকল্পগুলো থেকে কোনরকম বাদ না যায়। তাই তিনি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন যেটাতে পশ্চিমবঙ্গে 10 কোটি মানুষের উপকারে আসে তিনি যে সমস্ত প্রকল্পগুলো এক ছাতার তলায় মধ্যে রাখবেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে লক্ষী ভান্ডার, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ,রূপশ্রী ,যুবশ্রী ,বিধবা, ভাতা কৃষক বন্ধু, আরো অনেক রকম প্রকল্প রয়েছে। তার সমস্ত প্রকল্প গুলোকে তার এক ছাতায় তোলা এনে এক  আপ চালু করেছেন যার নাম "দিদির দূত" এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্প গুলো পেয়ে যাবেন। এমনকি আপনাদের যদি কোন প্রকল্পের আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন । তার জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার যে ভলেন্টিয়ার যুক্ত করা হয়েছে, সেই ভলেন্টিয়াররা আপনার বাড়ি বাড়ি যাবেন এবং আপনার সামনে রাজ্য সরকারের এই সমস্ত প্রকল্প গুলো তুলে ধরবেন। যদি আপনি কোন প্রকল্পের মধ্যে বাদ পড়ে থাকেন তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রকল্পটি তারা আবেদন করে দিবেন এমনকি আপনার যদি কোন প্রশ্ন করা থাকে তাহলে সরাসরি তাদের সামনে আপনারা জানাতে পারবেন এমনই এক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে রাজ্য সরকার তরফ থেকে এমনকি বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তারা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য এবং তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করার জন্য।

শর্ত না মানলে আবাসের টাকা পাবেন না

 



 

পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বিপাকে ফেলার ছক!

শর্ত মানলেও আবাসে ৮ হাজার

কোটি দিতে টালবাহানা কেন্দ্রের


 কলকাতা: ১০০ দিনের কাজের পর এবার আবাস প্লাস! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে ফের টালবাহানা মোদি সরকারের। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সুকৌশলে বাংলাকে ‘ভাতে মারতে’ ছক কষা হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ। আবাস প্লাস নিয়ে প্রথমে একগুচ্ছ কড়া শর্ত চাপিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বাংলাকে বেকায়দায় ফেলা যায়নি। নির্দিষ্ট মধ্যেই যাবতীয় শর্ত পূরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে। কোনও প্রশ্ন পর্যন্ত তোলেনি মোদি সরকার। তা সত্ত্বেও পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রের ভাগের বরাদ্দ ৮ হাজার কোটি টাকা। অন্তত এক সপ্তাহ আগে তা চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে নিজেদের বেঁধে দেওয়া শর্ত ভেঙেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন? কোনও জবাব মেলেনি। এদিকে হাতে আর মাত্র আড়াই মাস সময়। অর্থবর্ষ শেষের আগেই শেষ করতে হবে এই বিপুল সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের কাজ। ফলে গ্রামবাংলায় তৈরি হয়েছে অভূতপূর্ব সঙ্কট। 



গত বছর ২৪ নভেম্বর, প্রায় আট মাস দেরিতে বাংলাকে মোট ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি নির্মাণে টার্গেট দেয় কেন্দ্র। একইসঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় ছ’দফা শর্ত। তার মধ্যে অন্যতম—ট্রেজারি থেকে অর্থ অনুমোদনের এক সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি প্রত্যেক উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠাতে হবে রাজ্যকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। তারপর প্রায় দু’সপ্তাহ কাটতে চলেছে। রাজ্যের ভাগের ৪,৮০০ কোটি টাকা তৈরি রেখেছে অর্থদপ্তর। কিন্তু কেন্দ্রের ভাগের ৬০ শতাংশের (৮,২০০ কোটি) এক নয়া পয়সাও ছাড়া হয়নি। পুরনো আবাস যোজনার এক হাজার কোটি টাকা হাতে রয়েছে রাজ্যের। কিন্তু কেন্দ্র সেই পোর্টাল ‘ব্লক’ করে রাখায় ওই অর্থ ব্যবহার করে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি কাজ শেষ করা নিয়েই সংশয়ে বিভিন্ন মহল। 

রাজ্য সরকারের এক কর্তা জানান, কেন্দ্র নিজের ভাগের টাকা ছাড়ার পরেই একমাত্র একাজ সম্ভব। নচেৎ যাচাইপর্ব চালিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ৯৫ শতাংশ উপভোক্তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় তোলাই সার হবে। আবাস প্লাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করা যাবে না। বিষয়টি উল্লেখ করে ইতিমধ্যে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন। কোনও উত্তর আসেনি। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ তো সুকৌশলে রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলার ফন্দি মনে হচ্ছে। এমন হলে রাজ্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ চলতি মাসের শুরুতে আবাস প্লাসের তালিকা যাচাইয়ের কাজ খতিয়ে দেখতে মালদা ও মুর্শিদাবাদে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাদের রিপোর্টের অজুহাত দেখিয়েই কি আটকে রাখা হয়েছে টাকা? এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে প্রশাসনিক মহলে।

একজন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা যায় তিন কিস্তিতে। সেই নিয়ম ব্যাখ্যা করে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের জন্য একটি নোডাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশের টাকা জমা পড়ে। রাজ্যের অর্থদপ্তর এই নোডাল আকাউন্টে নিজের ‘ম্যাচিং ফান্ড’ পাঠানোর জন্য ফাইল তৈরি রেখেছে। কেন্দ্র টাকা ছাড়লেই তা পাঠানো হবে।